ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান এবং এই বিষয়ক সকল তথ্য ও বিবরণ

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান উপর ভিত্তি করে আজকের আমাদের এই পোস্ট। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে চলতে যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি। এই বিজ্ঞান বিপ্লবের কারণে কষ্টদায়ক কাজগুলো সহজ হয়ে গেছে সবকিছুকে আমরা হাতের মুঠো আনতে পেরেছি ঘরের মধ্যে বসেই আমরা দূর দুরান্তের খবর অজানা সকল তথ্য জানতে পারছি।বিপ্লবের আরেকটি রূপ হল ই পর্চা খতিয়ান অর্থাৎ এটি হল এমন একটি ডিজিটাল সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে জনগণকে তার জমি জমা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করার বিশেষ প্রক্রিয়া। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ই পর্চা খতিয়ান এবং এই বিষয়ক সকল তথ্য। আমাদের মধ্যে এরকম মানুষ অনেক আছে যারা জায়গা, জমি ঠিকই ক্রয় করে কিন্তু এই পর্চা খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান ও খাজনা এরকম সকল তথ্য থেকে তারা অজ্ঞাত থাকে।

ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান

এই ই পর্চা খতিয়ান বিষয়ে সকল তথ্য অনেকে জানতে চাই। এগুলো আবেদন করার নিয়ম ও পদ্ধতি এবং এপ্লিকেশনের মাধ্যমে কিভাবে ঘরে বসেই আবেদন করা যায় এবং কি অবস্থায় রয়েছে তা যাচাই করা যায় এবং খতিয়ান সংশোধনের নিয়ম । এ ক্ষেত্রে অনেকে দুশ্চরিত্রের মানুষের কবলে পড়ে। বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তির শিকার হয়। সে সকল সমাধান সকল কিছু জানতে পারবেন এই পোস্টে। সেজন্য মূলত আজকের আমাদের এই পোস্ট। এ পোস্টের মাধ্যমে আপনারা এই সকল কিছু তথ্য জানতে পারবেন এবং এগুলো সঠিক ব্যবহার ও নিয়মাবলী। সুতরাং দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধানের তথ্যসমূহ

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান মূলত ই পর্চা অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়। আগে মানুষ বিভিন্ন ভূমি কার্যালয় যেয়ে জমির বিভিন্ন মাপ এবং জমির মালিকানা ও বাইনামা এ সকল তথ্য বিভিন্ন দলিল পত্রের মাধ্যমে সত্যায়িত করে সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু আধুনিকতার সাথে চলে সকল কিছু আধুনিক হয়ে গেছে। ই পর্চা হল এই আধুনিকতার একটি ধাপ। এখন জমির সংক্রান্ত সকল তথ্য ভূমি দপ্তরে না যেয়ে ঘরে বসেই অ্যাপস এর মাধ্যমে জানা যায়।

ই পর্চা হল অনলাইনের হোমপেজ। এই হোমপেজে প্রবেশ করলে আপনি অনেক ধরনের খতিয়ান অপশন আসবে। এবং আপনার যেটি প্রয়োজন আপনি সেখান থেকে খুঁজে বের করতে পারবেন। এটা ঘরে বসে আপনি খুঁজে নিতে পারবেন। তথ্য পাওয়ার জন্য কোন কার্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুরুতে আপনাকে এখানে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে গুগলের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

খতিয়ান আবেদনের নিয়ম ই পর্চার মাধ্যমে অনলাইন করা এবং অবস্থা যাচাই

ই পর্চা আবেদন করার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। সঠিকভাবে আবেদন করলে আপনি ই পর্চার মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন ঘরে বসে অ্যাপস এর মাধ্যমে। প্রথমত আপনাকে ই পর্চা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর হোমপেজে কয়েকটি অপশন আসবে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্ভে খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ, আবেদনের অবস্থা, নির্দেশিকা। আপনি যদি ই পর্চা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাকে ওয়েবসাইটের উপরের ডান দিকে লগইন অপশনে যাইতে হবে সেখানে তিনটি অপশন আসবে প্রথমটি নাগরিক দ্বিতীয়টি প্রশাসনিক তৃতীয়টি রেজিস্ট্রেশন। শুরুতে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য। রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনার ফোন নাম্বার লাগবে এবং আপনার ইমেইল লাগবে। তারপর একটা ক্যাপচা অপশন আসবে। সে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তারপর আপনার নাম্বারে একটি ওটিপি আসবে সে ওটিপি দিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে করে আপনার একাউন্ট তৈরি করে নেওয়া লাগবে।

আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনি যেটি অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন সেটি আপনি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সামনেই কয়েকটি অপশনের মধ্যে আবেদনের অবস্থা নামে একটি অপশন পাবেন। সে অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার খতিয়ানের আবেদনের অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। আপনার খতিয়ান কি অবস্থায় রয়েছে আপনার খতিয়ানের ভেরিফিকেশন ঠিক আছে কিনা। সকল কিছু তথ্য আপনি এ ওয়েবসাইটের মধ্যে পাবেন।
খতিয়ান অনুসন্ধানের দুইটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমটি হল ওয়েবসাইট এবং দ্বিতীয়টি হল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।  ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিস্তারিতভাবে তথ্য জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা হল dlrms.land.gov.bd আর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সংক্ষিপ্তভাবে আপনার খতিয়ানের বিবরণী পাবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনের নাম হলো ই খতিয়ান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। ওয়েবসাইটের হোমপেজে যেয়ে আপনি যা অনুসন্ধান করতে চান সে সকল কিছু আপনি পেয়ে যাবেন। একটি অপশন রয়েছে খুঁজুন লেখা নামে। খুঁজুন লেখায় ক্লিক করলে খতিয়ান ও দাগের বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে। তারপর আপনার কাঙ্খিত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনাকে সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি আপনার একাউন্ট তৈরি করে আপনার সকল তথ্য জানতে পারবেন।সুতরাং বুঝতেই পারছেন কত সহজে আমরা ঘরে বসে জমির সঠিক তথ্য জানতে পারছি।

ই পর্চা খতিয়ান ও ই নামজারি তথ্য

ই পর্চা ওয়েবসাইটে খতিয়ানের কয়েকটি অপশন রয়েছে। সে অপশন গুলির মধ্যে রয়েছে নামজারি খতিয়ান। ই পর্চা ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ  করা যাবে। ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ঠিকানা হল dlrms.land.gov.bd এখানে ভিজিট করে এবং ট্যাপ থেকে নামজারি খতিয়ান সিলেট করতে হবে। তারপর খোঁজেন এর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। 

পদ্ধতি- প্রথমে আপনার বিভাগ/জেলা/উপজেলা বাছাই করুন। তারপর আপনার সঠিক মজা কিংবা জে এল নাম্বার বাছাই করতে হবে। তারপর ডান দিকে অনেকগুলো খতিয়ানের তালিকা দেখতে পাওয়া যাবে যখন আপনি মৌজা সিলেক্ট করবেন। আপনি যদি আপনার খতিয়ান নাম্বারটি জেনে থাকেন তাহলে সেটি খতিয়ান নাম্বারের ঘরে বসাবেন। তালিকা থেকে আপনার নামে থাকা খতিয়ান সিলেক্ট করবেন। সেখানে দেখবেন আপনার বিভাগ আপনার জেলা আপনার উপজেলা জমির ছাড়বে এবং মৌজা সাথে জমির পরিমাণ ও মালিকানার নাম সমূহ সব পাবেন তথ্য হিসেবে।

আবার আপনি যদি আপনার জমির মালিকানা নাম দিয়ে করতে চান তাহলে নাম দিয়ে জমির মালিকানা করার জন্য প্রথমে আপনার জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে হবে তারপর খতিয়ানের আপনার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মিউটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আবেদন করার পরে জমির মালিক আর নিষেধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা লাগবে। জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে হবে। ভূমি অফিসের মাধ্যমে এটি পাওয়া যাবে। জমির খতিয়ানে আপনার নাম জমির বিস্তারিত তথ্য সকল কিছু উল্লেখ থাকতে হবে। যেমন দাগ নাম্বার, মৌজা ইত্যাদি। খতিয়ানে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চান তাহলে মিউটেশনের প্রক্রিয়ায় আপনাকে আবেদন করতে হবে। মিউটেশন হলো জমি মালিকানা পরিবর্তন ও সংশোধনের একটি প্রক্রিয়া। এত সহজ যে সকল শ্রেণীর মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবে।সুতরাং ওয়েব সাইটের মধ্যে তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিলে আপনি আপনার অনুসন্ধান করা তথ্যটি পেয়ে যাবেন।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
আরেকটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো খতিয়ান নম্বর বের করার পদ্ধতি। খতিয়ান নাম্বার বের করার জন্য আপনি অনলাইনে E-khatiyan.info অথবা dlrms.land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে খতিয়ান অপশনটি যাচাই করতে পারবেন। আপনার জেলার নাম, উপজেলার নাম, মৌজা নির্বাচন করে খতিয়ান ও দাগের তথ্য খুঁজে পেতে পারেন।

বিশেষ কয়েকটি খতিয়ানের নাম সমূহ এবং ই পর্চা অ্যাপ

আমাদের বাংলাদেশের খতিয়ানের কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে। এক একটি খতিয়ান একেক রকমের এবং এক একটি বিশেষত্ব নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা চার ধরনের খতিয়ান রয়েছে। 
  • সিএস খতিয়ান
  • এস এ খতিয়ান
  • আর এস খতিয়ান
  • বি এস খতিয়ান/সিটি জরিপ সিএস খতিয়ান
খতিয়ানের বিভিন্ন ধরন রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জরিপ খতিয়ান এটি ভূমি জরিপের মাধ্যমে তৈরি করা খতিয়ান। খতিয়ান হচ্ছে একটি ভূমি মালিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলই যার মাধ্যমে ভূমি মালিকগণ তার দখলকৃত ব্যবহারকৃত জমির মালিকানা স্বত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।

ব্রিটিশ সরকার ১৯৪০ সালে জরিপ করে যে খতিয়ান তৈরি করে তাকে সিএস খতিয়ান বলা হয়। এটি প্রাথমিক খতিয়ান হিসেবে পরিচিত।

১৯৫০ সালে পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ এবং আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ১৭ হতে ৩১ দ্বারা মতে ১৯৫৬ থেকে ৬০ সালের দিকে যে খতিয়ান তৈরি করা হয় তাকে এসে খতিয়ান বলা হয়।

পূর্বের কিছু খতিয়ান ভুল ও প্রমাণিত হয়েছে। সে ভুল ত্রুটি সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার পূর্বের তৈরিকৃত খতিয়ান নতুন ভাবে উদ্যোগ নিয়ে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তার নাম আর এস খতিয়ান।

বর্তমানে যে খতিয়ান চলমান অবস্থায় রয়েছে সেটি হল বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ। ১৯৯৮  এবং ১৯৯৯ সাল থেকে চলমান খতিয়ানকে বি এস খতিয়ান বলে।

একটি খতিয়ানে বেশ কয়েকটি দাগ নম্বর থাকে। পশ্চিমবঙ্গের খতিয়ান নম্বর জানতে হলে আপনাকে Banglarbhumi ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং নাগরিক পরিষেবা বিকল্পে অধীনে আপনার সম্পত্তি জানুন এ ক্লিক করতে হবে।

যে কাজটি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন এবং অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন হতো সেটি খুব কম সময় এবং কম শ্রম লাগবে শুধুমাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে। জি হ্যাঁ খতিয়ান অনুসন্ধান ও জমির সকল তথ্য শুধুমাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে। ই পর্চা অ্যাপ ব্যবহার করে ভূমি সম্পর্কিত সকল তথ্য এবং সকল সেবা নিতে পারবেন। যেমন খতিয়ান অনুসন্ধান, খতিয়ানের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন ও তথ্য দেখা। এ অ্যাপের মাধ্যমে খতিয়ান সম্পর্কে আরো  অনেক কিছু জানা সম্ভব যেমন অনলাইন পর্যালোচনা মামলা , বাজেট ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ইত্যাদি।

দাগ ও খতিয়ান নাম্বার যাচাইকরন

আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ব্যবহার করতে পারেন, যদি আপনি দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমি মালিকানা যাচাই করতে চান। শুরুতে আপনাকে ওয়েব সাইটে গিয়ে সার্ভে খতিয়ান অপশনটি নির্বাচিত করতে হবে, তারপর জমির ঠিকানা ও মৌজা উল্লেখ করে তার সাথে অধিকতর অনুসন্ধানে ক্লিক করতে হবে। যখন আপনি সার্ভে অথবা নামজারি খতিয়ানটি নির্বাচন করবেন, সেখানে বিভাগ জেলা এবং উপজেলা অপশন আসবে আপনাকে সে সকল ঠিকানা গুলো সঠিকভাবে দেওয়া লাগবে। তারপর অপশন আসবে খতিয়ান অথবা পর্চার ধরন নির্বাচন করার। যেমন- বিএস, আর এস ইত্যাদি।
এরপর আপনাকে জমির মৌজা অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করলে আপনার সামনে খতিয়ান নম্বর অথবা দাগ নম্বর টাইপে অপশনটি আসবে সেখানে আপনাকে দাগ নম্বর টাইপ করতে হবে। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর শেষে আপনার কাঙ্খিত জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। ঠিক এই প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম করলে জমির মালিকানা সহ জমির সকল তথ্য জানা সম্ভব হবে।

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান এর নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। এটি হল E-porcha land.gov.bd। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার কিছু  অপশন সামনে প্রদর্শন হবে। এক একটা অপশন একেক রকম তথ্য প্রদান করবে। শুরুতে রেজিস্ট্রেশন করা এবং লগইন করা দুইটি অপশন থাকবে। তারপর ওয়েবসাইট ওপেন করে সামনে দুইটা অপশন আসবে।
একটি হলো নতুন আবেদন করতে ক্লিক করুন। 
আরেকটি হল আবেদনের অবস্থা দেখা।
তারপরে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার একটি অপশন দেখা দিবে যেখানে আপনাকে বিভাগ নির্বাচন করতে হবে এবং আবেদন নম্বর লিখতে হবে। তার নিচে কিছু তথ্যচিত্র রইবে আর এই তথ্যচিত্র বিগত ৩০ দিনের ডাটা সংগ্রহ করবে।  তথ্যচিত্রের মধ্যে মঞ্জুর হার, সন্তুষ্টির হার, গড়-নিষ্পত্তি, ফিডব্যাক এর সংখ্যা, নতুন আবেদন ও মোট নিষ্পত্তিকৃত আবেদন দেখা যাবে। এগুলো এক একটি এক এক রকম তথ্য সংগ্রহ করে যা তার ব্যবহারকারীদের উপকারে আসে। তারপর আসে এলাকাভিত্তিক মিউটেশন তথ্যচিত্র যেখানে বিগত ৩০ দিনের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন আবেদন, নিষ্পত্তিকৃত আবেদন, গড় নিস্পতি মঞ্জুর হার ও প্রক্রিয়াধীন ২৮ দিনের মধ্যে ইত্যাদি সকল তথ্য দেওয়া থাকে। এই তথ্যগুলো আপনি চাইলে ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সকল তথ্য প্রদান করে এই ওয়েবসাইটটি তার ইউজারদের উপকার করে থাকে। এটি ঘরে বসেই তথ্য যাচাই করা যায়। এর জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

জমি কেনার পরে সেই জমির মালিকানা নিজের নামে নিবন্ধিত করার জন্য নামজারি আবেদন করতে হয়। বর্তমানে এই আবেদন অনলাইনে করলে অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি এবং আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই দুটোই পাওয়া যায়। ই নামজারি আবেদন নিষ্কৃতি হওয়ার পরে একজন ভূমি কর্মকর্তা একটি নতুন খতিয়ান তৈরি করে সেখানে নতুন মালিকানার নাম উল্লেখ করা থাকে এবং পূর্বের বাতিল করা হয় আর এই খতিয়ানকে বলা হয় নাম যদি খতিয়ান বা খারিজ খতিয়ান।

ভূমি তথ্য অনুসন্ধান খারিজ ও জমির বাইনামা

ভূমি তথ্য অনুসন্ধান ও খারিজের মূলত কয়েকটি ধাপ রয়েছে। ভূমি তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে আমরা মূলত কয়েকটি অপশন পাব যদি আমরা তাদের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করি। সামনেই প্রদর্শন হবে মিউটেশন, ভূমি উন্নয়ন কর, ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ, ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল ইজারা ও বন্দোবস্ত, ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থাপনা, ভূমি রাজস্ব মামলা ও ভূমির তথ্য ব্যাংক। 
মিউটেশনে আমরা পাব ভূমির মালিকানা পরিবর্তন অথবা কোন সংশোধন প্রক্রিয়ার সহজে ও দ্রুত করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এই সিস্টেম ব্যবস্থাপনা শুরু করেছে।
ভূমি উন্নয়নকর সেবায় প্রবেশ করলে আপনার সামনে চারটি অপশন প্রদর্শন হবে। ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, সাধারণ জিজ্ঞাসা সমূহ, নির্দেশিকা ও টিউটোরিয়াল। 
ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপে আমরা জানতে পারবো জায়গা জমির সঠিক মাপ এবং মালিকানার নামসমূহ ও বিভিন্ন তথ্য। 
ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল ও ইজারা ও বন্দোবস্ত পরিসেবাগুলো বর্তমানে এখনো উন্মুক্ত হয়নি।  তবে খুব দ্রুত উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ভূমি মন্ত্রণালয় আয়তাধীন ভূমি ব্যবস্থাপনার অটোমেশন প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে পরিসেবাটির নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় অব্যাহত রয়েছে।
প্রশাসনিক আইন অনুসারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম প্রশাসনের পরিষেবা রয়েছে। 
ভূমি রাজস্ব মামলায় আমরা মূলত কয়েকটি মামলা দেখতে পারি একটি হল রাজস্ব মামলা আরেকটি হলো দেওয়ানী মামলা এবং এই মামলাগুলোর মধ্যে চলমান মামলা কোনগুলো আর নিষ্পত্তি মামলা কোনগুলো তা পৃথকভাবে বর্ণনা করা থাকে।
অনলাইনে খারিজ চেক করার কিছু পদ্ধতি।
প্রথমে ভিজিট করতে হবে mutation.land.gov.bd পেইজে। তারপর আবেদন সর্বশেষ অবস্থা অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে বিভাগ নির্বাচন করবেন এবং খারিজ আবেদন আইডিটা লিখবেন। অতিরিক্তভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটি ও টাইপ করবেন। পরিশেষে আপনি খুঁজুন বাটনে ক্লিক করবেন পরবর্তীতে আপনার তথ্য আপনার সামনে উপস্থাপন করা হবে।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
জমির বায়না সচরাচর আমরা অনেক শুনতে পারি। জমির বায়না বলতে কি বুঝায় তা আমরা এখন জানবো। জমির বায়না হলো মূলত জমির ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সমন্বয়ে একটি তৈরি করার চুক্তি, যে  চুক্তির মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতাকে জমির কিছু অংশ বা পুরো দামের অগ্রিম অর্থ প্রদান করবে এবং বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাকে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হবে।এই চুক্তিতে আইনি ভাবে অনেক শক্তিশালী। যা একটি দলিলে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকে কিছু নিয়মাবলী ও নিষেধাজ্ঞা। এ সকল নিষেধাজ্ঞ মধ্যে একটিও নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে যেতে পারবে না ক্রেতা ও বিক্রেতা।  এই বাইনা চুক্তিটি সাধারণত লিখিত দলিল হিসেবে তৈরি করা হয়। এতে উভয় পক্ষেরই নাম ঠিকানা বাইনার পরিমাণ ও বিক্রির সময়সীমা উল্লেখ করা থাকে।

জমির মৌজা বিষয়ক সকল তথ্য বিবরণী

জমির মৌজা হল একটি রাজস্ব গ্রাম বা প্রশাসনিক এলাকা। জমির মৌজা হল প্রশাসনিক ও রাজস্ব বিভাগের সর্বনিম্ন একক একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভূমির বিষয়ে, যেখানে এক বা একাধিক বসতি থাকতে পারবে। এই মৌজা শব্দটি ২০ শতকের আগে পরগনা বা রাজস্ব জেলার রাজস্ব আদায় ইউনিটকে বোঝানো হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি জমির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। মৌজা বের করার দুই রকমের পদ্ধতি রয়েছে একটি হলো মৌজা ম্যাপ এর মাধ্যমে অনুসন্ধান করা আর আরেকটি হলো সরাসরি এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করে এবং ফি জমা দিয়ে। মৌজা ম্যাপ এর মাধ্যমে অনুসন্ধান করলে এলাকা, ম্যাপের ধরন, সিট নম্বর ও দাগ নম্বর এছাড়াও অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করে থাকে। অন্যদিকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনি মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি ও সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনার ভূমি ইউনিয়ন কর এবং ইমিটেশন ফি আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সহজে পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে। শুরুতে আপনাকে এদের অফিসিয়াল অনলাইন পোর্টালে যেতে হবে। সেখানে যেয়ে আপনি নিবন্ধন করতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ,জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি, ফোন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়েও। আবার আরেকভাবেও নিবন্ধন করতে পারবেন সেটি হল কল সেন্টার নাম্বারে ফোন দিয়ে আপনার তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ভূমি সংক্রান্ত সহায়তার জন্য এদের যোগাযোগের নম্বর দেওয়া থাকে। আপনি এদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে। এছাড়াও এদের ঠিকানা, ফ্যাক্স এবং ইমেইল করেও আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন।

প্রতিবছর প্রতি শতাংশ জমির জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থায়ন প্রদান করা হয়, এতে জমি ভোগ করার সুবিধা পাওয়া যায়। একই জমির খাজনা বলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিমাণ জমির খাজনা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়। বাংলাদেশের ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করা হয়। ২৫ বিঘার বেশি এবং ১০ একরের কম জমির জন্য প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা হারে খাজনা দিতে হয়। ১০ একরের বেশি জমির প্রতি শতাংশ জমির এক টাকা হারে খাজনা দিতে হয়। এই খাজনার সময় মত পরিশোধ না করলে জমি বাজেয়াপ্ত  ও খাস করা হয়।  খাজনা পরিষদ উত্তীর্ণ একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সেটি হল তিন বছর। এছাড়া জমির খাজনা জাল জালিয়াতি হলে কঠোরতম অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কয়েক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আমাদের উচিত সঠিক সময়ে জমির খাজনা পরিশোধ করে দেওয়া। পরিশোধ করার জন্য এদের ওয়েবসাইটে প্রথমে ভিজিট করতে হবে। যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট খুলে নিতে হবে। খতিয়ানের অপশনে যেয়ে খতিয়ান তথ্য যুক্ত করতে হবে। এরপরে হোল্ডিং অপশনে গেলে খাজনা টাকা পরিমাণ দেখতে পাবেন।

ভুল খতিয়ান সংশোধন করার নিয়ম

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান মূলত একটি দলিল যেখানে ভূমি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রস্তুত করা হয় এবং এতে জমির পরিমাণ, জমির রেকর্ড, মৌজা ভিত্তিক এবং এক বা একাধিক ভূমি মালিকের জমির বিবরণ থাকে। এই দলিল জমির মালিকানা, ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
খতিয়ার মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে। 
যেমন- সিএস খতিয়ান, এসএ খতিয়ান, আরএস খতিয়ান, বিএস খতিয়ান ইত্যাদি। 
সিএস খতিয়ান- জেলার উপর ভিত্তি করে প্রথমত যে নকশা ও ভূমির তথ্য রেকর্ড করা হয় তাকে সিএস খতিয়ান বলে। 
এসএ খতিয়ান- প্রাচীনকালে জমিদার ও প্রজাদের আইনজারির পরে অর্থাৎ ১৯৫০ সালের পরে যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাকে এসএ খতিয়ান বলে।
আরএস খতিয়ান- কোন খতিয়ানকে প্রস্তুত করার পরে আবার পূর্ণগঠন জরিপের মাধ্যমে প্রস্তুত করাকে আরএস খতিয়ান বলে।
বিএস খতিয়ান- বিএস খতিয়ানকে সিটি জরিপও বলা হয়। এটি মূলত ১৯৯৮ থেকে ৯৯ সালে মধ্যে চলমান জরিপকে বিএস খতিয়ান বলে।

এছাড়াও এর মধ্যে নামজারি খতিয়ান ও রয়েছে। একটি জমির উত্তরাধিকারী অথবা ক্রয় সূত্রে বা অন্য কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমিতে নতুন কোন মালিক হলে তার নাম খতিয়ানের মধ্যে যুক্ত করা হয় আর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় নামজারি খতিয়ান। 
এখন সকল খতিয়ান গুলো দলিলে সীমাবদ্ধ নয়। এখন মানুষ খতিয়ানের দলিল পড়তে দপ্তরে অথবা মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসে অনলাইনে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল তথ্য অনুসন্ধান করা যায়। এছাড়া নতুন ব্যবহারকারীও ওয়েবসাইটের মধ্যে একাউন্ট তৈরি করতে পারবে। খতিয়ানের যেরকম প্রকারভেদ রয়েছে সেরকম জমিরও বিভিন্ন রকম প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু জমি উত্তরাধিকারী সূত্রে বা নতুন কোন মালিকের পরিবর্তন অথবা বিগত প্রাচীন সময়ে আইন জারির পর খতিয়ানের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে আরেকটি জমি হল খাস জমি। খাস জমি হল সরকারি জমি।

অনেক সময় খতিয়ান প্রস্তুত করতে বিভিন্ন রকমের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। খতিয়ানে ভুল থাকলে প্রথমে তার সংশোধন করার জন্য নিজ নিজ ইউনিয়ন পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের ভূমি অফিসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এরপর আপনার আবেদনটি ভূমি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঠিকমত যাচাই করবে। তারপর আপনার ভুল সংশোধনের আবেদনটি গ্রহণ করবে। ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমত আপনাকে এই সংশোধনের একটি আবেদন পত্র পূরণ করতে হয়। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়। যেমন- জমির খতিয়ানের ফটোকপি, দলিলের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এই সংশোধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি রয়েছে যা আপনাকে আবেদন করার সময় পরিশোধ করতে হবে। সরকারিভাবে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে ২০ টাকা ফ্রি সংযুক্ত করতে হয়। এছাড়াও খতিয়ানের ভুল সংশোধনের ফি ১১৫০ টাকা। সঠিক নিয়মাবলী অনুসরণ করে খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য সঠিকভাবে আবেদন করলে সেটি পরবর্তীতে সংশোধন হয়ে আসে।

বিএস অথবা বিআরএস রেকর্ড নীতিমালা

বিএস অর্থাৎ বাংলাদেশ সার্ভে এবং বি আর এস অর্থাৎ বাংলাদেশ ডিজিটাল রেকর্ড সিস্টেম এই দুইটি মূলত ভূমির তথ্য এবং সকল জরিপের সাথে সম্পর্কিত তবে বি এস এর আধুনিক রূপ হলো বি আর এস। এই বি আর এস জমির ব্যবস্থাপনা এবং সকল তথ্য আধুনিকতা ও সহজের সাথে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
বিএস খতিয়ান প্রাচীনে প্রস্তুত করা হয়েছিল অর্থাৎ ১৯৫০ সালে। এটি মূলত জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। এটির নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে এই খতিয়ানটি পরিচালিত হয়েছিল। তারপরে এটি সংশোধন করে এটির আধুনিক রূপটাকে জনসাধারণের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে বিআরএস রেকর্ডের মাধ্যমে অনেক কিছু সহজ হয়ে গেছে। যেমন এখন দলিল ও জমির তথ্যের জন্য ভূমি  অফিস যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সকল তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের সহজলভ্যতা বেড়েছে সাথে জমির মালিকানায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটাও সহজীকরণ হয়েছে।

বর্তমানে বিডিএস অর্থাৎ বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে নামে একটি নতুন ভূমি জরিপ কার্যক্রম চলমান হয়েছে। এই বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের জন্য নাগরিকদের ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সহায়তা হয়েছে। এটির আগে সিএস এসএ আরএস জরিপ হয়েছিল। বিডিএস একটি সম্পূর্ণ নতুন ক্যাডাস্ট্রাল অর্থাৎ ভূনকশা-ভিত্তিক জরিপ।

ই পর্চা খতিয়ানের বিষয়ে লেখকের মন্তব্য

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান এর মাধ্যমে এখন অনেক ভূমির তথ্য আমরা ওয়েবসাইটে জানতে পারি। তাতে মানুষের সময় সাশ্রয় এবং কষ্ট মওকুফ হয়েছে। বিভিন্ন দালালদের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়েছে। এখন জমির পরিমাপ মানুষ নিজে করে না। ড্রোনের মাধ্যমে জমির পরিমাপ করা হয় এবং আরো অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ভূমির পরিমাপ সহ সকল তথ্য সংগ্রহ করে থাকে এবং সংরক্ষণ করে। আর সে সংরক্ষণ তথ্যগুলো মানুষ ঘরে বসেই আরামে দেখতে পাচ্ছে।
তাই বিডিএস নিয়ম চালু হওয়ার পর আমাদের সকলের উচিত সে সকল নিয়ম-কানুন মেনে আমাদের সমস্যা গুলোর সমাধান করার চেষ্টা করি। সুতরাং এতে আমাদের সময় কষ্ট সবকিছু কম হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url